বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ এবং সমাধান
বই পড়ার অভ্যাস আমাদের মেধা এবং মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে, চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং শখের বিষয়গুলির প্রতি আগ্রহ তৈরি করে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা একদিকে যেমন নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করি, তেমনি অন্যদিকে আমাদের সৃজনশীলতা এবং মননশীলতার বিকাশ ঘটে। কিন্তু, বর্তমান যুগে অনেকেই বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছেন। তো, আসুন জানি বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কিছু প্রধান বিষয় সম্পর্কে।
১. প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল বিভ্রান্তি
বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ বলতে গেলে প্রথমেই যেটা মাথায় আসে তা হলো প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইস। আজকাল, আমাদের চারপাশে প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর প্রভাব আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে গেছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তিগত গ্যাজেটগুলি আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা এত বেশি সময় এই ডিভাইসগুলোতে কাটাচ্ছি যে, আমাদের মনোযোগ অনেকাংশে এতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও গেমস, ইউটিউব ভিডিও, এবং অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমগুলো আমাদের সময় এবং শক্তি শোষণ করে, যা বই পড়া বা গভীর চিন্তা করার জন্য প্রয়োজনীয় মনোযোগকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে, অনেকেই মনে করেন যে, ডিজিটাল ডিসট্র্যাকশনের তুলনায় বই পড়া খুবই কম আকর্ষণীয় বা সময়সাপেক্ষ, এমনকি অনেক সময় আমাদের কাছে বই পড়ার জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে, যদি আমরা এই ডিজিটাল মাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই, এবং সেগুলোর প্রতি আমাদের নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করতে পারি, তাহলে বই পড়ার জন্য আরও সময় এবং মনোযোগ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। একে শুধু আমাদের জীবনধারার অংশ হিসাবে গ্রহণ করা উচিত নয়, বরং আমাদের অভ্যাসে পরিণত করতে হবে, যাতে আমরা এই প্রযুক্তিগত পৃথিবীতেও মানসিক উন্নতি এবং শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে পারি।
২. ব্যস্ত জীবনযাত্রা
আধুনিক জীবনে প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন রুটিন এতটাই ব্যস্ত এবং চাপপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, বই পড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কর্মজীবন, শিক্ষা, এবং ব্যক্তিগত জীবন এই তিনটি ক্ষেত্র একে অপরকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমাদের সময়ের ওপর বিপুল চাপ সৃষ্টি করে। ফলে, আমরা বই পড়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি না। অফিসের কাজ, স্কুল বা কলেজের পড়াশোনা, পরিবার এবং অন্যান্য দায়িত্বের মাঝেই আমাদের সময় এতটাই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে যে বই পড়া প্রায় বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া, বেশিরভাগ সময় অফিসের কাজ অথবা বাড়ির কাজ শেষ করার পর আমরা এত ক্লান্ত হয়ে পড়ি যে বই পড়ার মনোভাব বা ইচ্ছা একেবারে চলে যায়। এমনকি যখন আমরা পড়ার জন্য কিছু সময় বের করার চেষ্টা করি, তখন মন একেবারে অস্থির হয়ে পড়ে এবং পড়তে মনও সায় দেয় না।
৩. আগ্রহের অভাব
বর্তমানে বেশ কিছু লোকের মধ্যে বই পড়ার প্রতি আগ্রহের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশেষত তাঁদের মধ্যে যাঁরা এখনও সঠিক বইটি খুঁজে পাননি। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বই পড়ার সময় একঘেয়ে বা বিরক্তিকর অনুভব করেন, এবং তাদের কাছে এটি একটি নীরস কাজের মতো মনে হয়। তবে, এটি একটি ভুল ধারণা, কারণ বাজারে রয়েছে এমন অনেক রকমের আকর্ষণীয় বই, যা বিভিন্ন মানুষের আগ্রহের প্রতি প্রলোভন তৈরি করতে সক্ষম। যেমন, উপন্যাস, গল্প, জীবনী, আত্মউন্নয়ন, ভ্রমণ কাহিনী, ইতিহাস, কবিতা, সায়েন্স ফিকশন, এবং আরও অনেক ধরনের বই। একেকজনের পছন্দের ওপর নির্ভর করে তাদের আগ্রহের বই পাওয়া সম্ভব।
অতএব, বই পড়ার অভ্যস্ততা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নিজের পছন্দের বই খুঁজে বের করা। এটি যখন সম্ভব হবে, তখন বই পড়া শুধু একটি বিনোদন হিসেবে নয়, বরং একজন মানুষের আত্মীয় উন্নয়ন এবং মানসিক বৃদ্ধি সাধনেরও উপায় হয়ে উঠবে। প্রতিটি বই এক একটি নতুন জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে আসে, যা আমাদের চিন্তার দিগন্ত প্রসারিত করতে সাহায্য করে। সুতরাং, বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য নিজের পছন্দের বই খুঁজে বের করা খুবই জরুরি।
আরো পড়ুন:পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় 🎯
৪. বইয়ের অপ্রাপ্যতা
বর্তমানে, বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বইয়ের প্রাপ্যতা সংক্রান্ত সমস্যা। বিশেষ করে যারা গ্রামে বাস করেন বা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাদের জন্য বই সংগ্রহ করা অনেক সময় অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। বইয়ের দাম অনেক সময় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়, আর অনেকেই এই মূল্য পরিশোধ করতে সক্ষম হন না। এর ফলে, তাদের জন্য বই পড়ার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়, যা বই পড়ার অভ্যাসের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
এছাড়াও, লাইব্রেরি বা বইয়ের দোকানে যাওয়া অনেক সময়ই তাদের জন্য সম্ভব হয় না, কারণ অনেক গ্রামে লাইব্রেরি বা বইয়ের দোকান নেই, বা সেখানে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া লাগে। এই কারণে, যারা বই পড়ার প্রতি আগ্রহী, তাদের কাছে বই পাওয়ার পথও অনেক সময় বন্ধ থাকে।
তবে, বর্তমান সময়ে কিছু সেরা প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এই সমস্যাগুলোর সমাধান হিসেবে উঠে এসেছে। অনলাইনে অনেক সাইট এবং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে বিনামূল্যে বা খুব কম দামে বই পাওয়া যায়। এটি এমন একটি বিকল্প যা সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, ই-বুক পড়ার সুবিধা নিয়ে কিছু প্ল্যাটফর্ম, যেমন গুগল বুকস, অ্যামাজন কিডস, এবং অন্যান্য ডিজিটাল বইয়ের আর্কাইভ, মানুষকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। ই-বুক বা ডিজিটাল বইয়ের মাধ্যমে, একদিকে যেমন মানুষ বই পড়তে পারে, তেমনি এটি আরও সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
এভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে বইয়ের অপ্রাপ্যতার সমস্যাটি কিছুটা হলেও দূরীকৃত হয়েছে, এবং এটি ভবিষ্যতে বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫. বইয়ের মান
বইয়ের মান কমে যাওয়ার কারণে অনেক মানুষ বই পড়া ছেড়ে দেয়। অনেক সময় বইয়ের বিষয়বস্তু এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যে, পাঠকরা দ্রুত বিরক্ত হয়ে পড়ে এবং আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যদি বইটি একঘেয়ে, monotonous, অথবা অত্যন্ত কঠিন ভাষায় লেখা হয়, তবে সেটি পড়ার প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া প্রায় অসম্ভব। বইটি যদি কঠিন বা অতিরিক্ত জটিল শব্দাবলীতে ভরা হয়, তবে পাঠকের জন্য সেটি বিরক্তির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যারা নতুন পড়তে শুরু করেছে বা যারা খুব বেশি বই পড়তে অভ্যস্ত নয়।
অন্যদিকে, বইয়ের বিষয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বইটির বিষয়টি পাঠকের রুচি এবং আগ্রহের সঙ্গে মেলে, তবে বইটি পড়ার অভ্যস্ততা তৈরি হতে পারে। যদি বইটি শিক্ষণীয় হয়, তবে এটি সহজেই পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম। যেমন, কোন বই যদি শিক্ষামূলক গল্প, কাহিনী বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগুলি তুলে ধরে, তবে তা পাঠককে নতুন কিছু শিখতে উদ্বুদ্ধ করে।
এছাড়া, বইয়ের লেখার গুণগত মানও নির্ভর করে তার ভাষা এবং শৈলীর ওপর। যদি বইয়ের ভাষা সরল, পরিষ্কার এবং বোঝার উপযোগী হয়, তবে পাঠকরা বইটি পড়তে আরও আগ্রহী হবে। চিত্রের ব্যবহার, যেমন গ্রাফিক্স বা ছবির মাধ্যমে বিষয়বস্তুকে আরও উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় করা যায়, যা পাঠককে একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা দিতে সহায়তা করে।
অতএব, বইয়ের মানের সাথে সাথে লেখক এবং প্রকাশকদের উচিত এমন বইয়ের প্রকাশনা করা যা পাঠকদের জন্য আকর্ষণীয়, সহজ এবং শিক্ষণীয় হয়। বইয়ের মান যদি উপযুক্ত হয়, তবে মানুষ স্বেচ্ছায় বই পড়তে ফিরে আসবে এবং পড়ার অভ্যাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
৬. পড়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশের অভাব
বই পড়ার জন্য একটি নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত পরিবেশের অভাব বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ। যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা আমাদের পড়ার অভ্যাসে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। একদিকে যেমন শব্দদূষণ আমাদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করে, অন্যদিকে পরিবারের সদস্যদের ব্যস্ততা বা অফিসের চাপও আমাদের পড়ার জন্য সময় এবং জায়গা দেয় না। এই ধরনের পরিস্থিতি বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। এমনকি যাদের বই পড়ার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে, তারা পরিবেশের অভাবের কারণে পড়া বাদ দিয়ে দিতে পারেন।
তবে, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হলে বই পড়া আরও উপভোগ্য হতে পারে। নিরিবিলি, এক কোণায় বসে বই পড়ার মতো পরিবেশের অভাব যেন আর না থাকে। যদি নিজে বাড়ির কোথাও একটি ছোট্ট কোণ খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে শান্তি থাকে, বা পাবলিক লাইব্রেরি বা কোনো ক্যাফেতে গিয়ে সময় কাটানো যায়, তাহলে বই পড়া অনেক সহজ এবং আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। এই পরিবেশে বসে পড়লে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য হয় এবং বইয়ের প্রতি আগ্রহ আবারও জেগে ওঠে।
বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার অন্যান্য কিছু কারণ
বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার পেছনে আরও কিছু ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। যেমন—ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি উৎসাহ না দেওয়া, চারপাশে পড়ার সংস্কৃতি বা বইপ্রেমী পরিবেশের অভাব, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার চাপ, কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বই নিয়ে আলোচনা না হওয়া। অনেক সময় পরিবারে কেউ বই পড়ে না, ফলে শিশুরাও এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারে না। আবার কিছু মানুষ মনে করে বই পড়া শুধুই ছাত্রজীবনের বিষয়, যা জীবনের পরবর্তীতে প্রয়োজন নেই। এই ধরনের মানসিকতা ধীরে ধীরে সমাজে বই বিমুখতা তৈরি করে।
উপসংহার
বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়া একটি দুঃখজনক বিষয়, যা সমাজের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেকটাই ডিজিটাল হতে চলেছে, এবং এই পরিবর্তনের ফলে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। তবে, এটি একটি সমাধানযোগ্য সমস্যা। আমাদের যদি এই অভ্যাসটি ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে প্রথমেই ডিজিটাল বিভ্রান্তিগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মোবাইল, টেলিভিশন, এবং সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সময় নিয়ে নিচ্ছে, তা আমাদের পড়াশোনার সময় কমিয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, আমাদের ব্যস্ত জীবনযাত্রাও একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে বই পড়ার জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে, যদি আমরা নিজেদের জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ করি, তাহলে বই পড়ার অভ্যাস পুনরায় ফিরে আসতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বইয়ের মান উন্নত করা। বর্তমানে অনেক বইই বাজারে এসেছে, যেগুলোর মান কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ। যদি আমরা বইয়ের মান উন্নত করতে পারি এবং পাঠকদের জন্য আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু প্রদান করি, তাহলে বই পড়ার প্রতি আগ্রহও বাড়বে।
সবশেষে, আমাদের উচিত বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধান করা। বই পড়ার অভ্যাস শুধু আমাদের মানসিক বিকাশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি আমাদের জীবনের গুণগত মানও বাড়িয়ে তোলে। এটি আমাদের চিন্তার পরিসর বাড়ায় এবং নতুন নতুন ধারণার সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।
আসুন, আমরা ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করি। প্রতিদিন কিছুটা সময় বই পড়ার জন্য বরাদ্দ করি, যাতে আমাদের জ্ঞান এবং মেধা আরও বিকশিত হয় এবং আমরা আরও ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারি।